যমুনা নদীর পানি সামান্য কমলেও পানি বাড়ছে শাখা নদীগুলোতে। ইতোমধ্যেই যমুনার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল। বর্তমানে যমুনার পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) রনজিৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিন্মাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার নিন্মাঞ্চলের অনেক গ্রাম এখন পানিতে ভাসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে শাহজাদপুর, চৌহালী ও কাজিপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘ্টা পানিতে ডুবে গেছে। চরাঞ্চলসহ অনেক নিচু বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এবং ডুবে গেছে পাটসহ বিভিন্ন ফসল। এতে বিশেষ করে চরাঞ্চল এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা বাড়ছে। বন্যা কবলিত অনেক পরিবার এখন মানববেতর জীবন করছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা এখনও পায়নি উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী অনেক স্থানে ভাঙ্গন ও দেখা দিয়েছে এবং শাহজাদপুর ও চৌহালীর ভাঙ্গন থামছেনা। অবশ্য ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বন্যা ও ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা পাওয়া গেলে ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে।